পোস্টগুলি

জুলাই, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্মৃতি

 ঃঃ এক ঃঃ ১৯৮১ সালের এক বিকেল বেলায় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পূজো দিতে গিয়ে আমার বাবা খেয়াল করে যখনই সে ধূপকাঠি জ্বালাতে যাচ্ছে তক্ষনি দমকা হাওয়ায় আগুন নিভে যাচ্ছে  বারবার।  বহুবার চেষ্টাতেও যখন ধূপ জ্বলল না তখন পূজো  না দিয়ে অজানা দুর্ভাবনা নিয়ে উত্তরপাড়ায় ফিরে আসার পর বাবা জানতে পারে তার পিতৃবিয়োগ হয়েছে। সেখান থেকে বাবা যখন বাড়ি পৌঁছায় তখন দাদুর দাহকার্য হয়ে গিয়েছিল।  শেষবার আর দাদুকে দেখা হয়নি বাবার।  এসব আমার জন্মের প্রায় ৮ বছর আগের কথা।  একটা ছবি ছাড়া দাদুকে আমি দেখিনি। পলাশী বাজারের মধ্যে দাদুর একটা চায়ের দোকান ছিল।  সে দোকান আজও আছে।  সৎ , কর্মঠ মানুষ হিসাবে দাদুর নাকি বেশ সুনাম ছিল। লোকে মন্যি গন্যি করতো।  কষ্ট করে ভাইদের বড় করেছিল। এসব কথা যখন বাবা বলে তখন আজও তার গলা উদাস হয়ে যায়। চোখ ছলছল করে।  আমার ছোটদাদুকে যদিও আমি দেখেছিলাম।  মাথার মাঝে মস্ত টাক।  বয়সের ভারে একটু কুঁজো হয়ে গেলেও চলাফেরা করতেন যথেষ্ট। যে সময় আন্দামানে বনজঙ্গল কেটে আবাদ করা হচ্ছে  সে সময়ে ছোটদাদু ছিলেন সরকারি সার্ভে টিমের সদস্য। তার ঝুলিতে ছি...
চিন্তার ব্যাপার জীবনের গল্প