একটি অন্তর্ঘাতের গল্প
পৃথিবীতে এর আগে যত আন্দোলন হয়েছে তার একটা কেন্দ্রবিন্দু ছিল। সেই বিন্দু থেকে একটা ঢেউ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। কিন্তু এক জায়গায় যখন সে ঢেউ পৌঁছায় অন্য জায়গায় তা স্তিমিত হয়ে পড়ে। একসাথে তামাম দুনিয়া জুড়ে এমন আন্দোলন আগে কোনোদিন হয়নি। রাষ্ট্রনেতারা প্রমাদ গুনলেন। এদের দাবী যদিও আশু রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটাচ্ছে না; কিন্তু চিন্তার যথেষ্ট কারণ আছে আর এমন কোনো সম্ভবনা থাকলে তা অঙ্কুরেই বিনাশ করা উচিত। আন্দোলনকারীদের দাবী যদিও আপাত নিরীহ। তাঁরা বলছেন সুন্দর ও কুৎসিত এই দুটি শব্দ অভিধান থেকে বাদ দিতে হবে। গোটা বিশ্ব জুড়ে শুধু এই নিয়েই মিটিং মিছিল। প্ল্যাকার্ড হাতে হাজার হাজার মানব মানবী। তাদের নানা ভাষা, নানা আকার, নানা বয়স। আপাতত তাদের প্রস্তাব অন্তত দৈহিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে পৃথিবীর সমস্ত সংস্কৃতিতে যে বাঁধাধরা মানদণ্ড, যে অলিখিত নিয়ম আছে তা ছুঁড়ে ফেলতে হবে। তার প্রথম পদক্ষেপ এই অভিধান থেকে শব্দদ্বয় বাদ দেওয়ার কর্মসূচি। এমনিতে জনগণের স্মৃতিশক্তি খুব একটা প্রবল নয়। মানুষ ভুলে যায়। কেউ কেউ যদিও মনে রাখে। খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করতেই থাকে তারা। কিন্তু জনগণের নতুন হুজুকের প্রতি মোহ দেখে...