ঠিক সিনেমার গল্প

 

কলকাতা থেকে শ দেড়েক কিলোমিটার দূরে NH - ৩৪ এর উপর এই গ্রাম। কাছেই স্টেশন আর মেন্ রাস্তার বাস স্টপেজ থাকায় আশেপাশের এলাকার থেকে একটু গমগমে। আবার ইতিহাসের পাতায় এই এলাকার নামও আছে। তবে বেড়ানোর জায়গা একে বলা যায়না। তেমন দ্রষ্টব্যঃ কিছু তো নেই। ইতিহাসে নাম থাকলেও সে ইতিহাস বড় সুখের নয়। তাই তাকে বাঁচারনোর তাগিদও কম। তবু শীতের শুরু থেকে বসন্তের শেষ অবধি এখানে পরিযায়ী মানুষের আনাগোনা দেখা যায়। নদীয়া মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের ফাঁকে যাদের হাতে কিছুটা বেশি সময় থাকে, তেমন কৌতূহলী মানুষেরা এখানে এক বেলা কাটিয়ে যায়। অন্য সময় কলকাতায় চাকরিজীবী যারা কালেভদ্রে দেশের বাড়ি দর্শন করতে আসতো তারাও প্রায় প্রতি সপ্তাহে একবার করে বাড়ি ফিরে আসে। আর আসে পিকনিক পার্টি। রীতিমতো গাড়ি ভাড়া করে , বাসন কোসন , বক্সস্পিকার এনে , রেঁধে বেড়ে , ব্যাটমিন্টন খেলে হৈ হুল্লোড় করতে।
আমি এই এলাকারই ছেলে। মাস্টার ডিগ্রি পাশ দিয়ে এখন দু চারটে টিউশন করি। সারা দিনে চার পাঁচ ঘন্টা পড়ানোর পর অখণ্ড অবসর। তবে এই সময় আমার চাহিদা বেশ বেড়ে যায়। বন্ধুরা কলকাতা থেকে ফিরলে দফায় দফায় তাদের সাথে চায়ের আড্ডা চলে। কখনো ঘুরতেও বেরোতে হয়।
সেদিন এমনই একটা একটা আড্ডায় কথা হচ্ছিলো সিনেমার গল্প নিয়ে। প্রণবের দাবী সিনেমায় যা দেখায় তা রিয়েল লাইফে ঘটে যাওয়া আশ্চর্য কিছুই না। বরং আকছারই ঘটে। ঋষভ সে দাবি মানতে নারাজ। তার মতে সত্যি ঘটনা নিয়ে সিনেমা না করলে নিছক কাল্পনিক বস্তাপচা রোম্যান্টিক সিনেমার গল্প কখনোই রিয়েল লাইফের সাথে মেলে না। চায়ের কাপ হাতে নিয়ে চুপচাপ ওদের কথা শুনছিলাম। প্রণব হঠাৎ বলে - " জানিস, একদম বাজিকর সিনেমার গল্পের মতো ঘটেছিলো আফ্রিকার একটা শহরে। "
ঋষভ বলে " কোন শহরে ? কবে ? কোন কাগজে পড়েছিস ? এমন বললি যেন আফ্রিকাটা তোদের বাগুইআটির চালপট্টির মতো জায়গা!"
বলেই ঋষভ আমার দিকে সমর্থনের আশায় তাকায়। এই এক জ্বালা। দুজনেই এরপর একেরপর এক উদাহরণ আর প্রমান দিতে থাকবে। শেষ অবধি মীমাংসার ভার এসে পড়বে আমার উপর। এমন রোজই হয়। আবার ওদের এড়িয়ে যাওয়াও যায়না। কাজ নেই বলে বন্ধুদের এমন হাজারো অকাজে আমার থাকাটা যেন বাধ্যতামূলক।
তবে আজ ভালো লাগছিলো না। শীত শেষ করে গরমটা পড়বো পড়বো করছে। আজ যেন ভালোই পড়েছে।
তোরা লড়। আমি উঠছি - বলে উঠতে যেতেই দুজন রে রে করে ওঠে।
'কোথায় যাবি ? কাজ কি তোর ! দাঁড়া আজ একটা হেস্তনেস্ত হোক ' দাঁত খিঁচিয়ে বলে ঋষভ। এরা কিছুতেই ছাড়তে চায়না। বাড়ি গেলেও ধরে নিয়ে আসে নাহলে বাড়িতেই আড্ডা বসিয়ে দেয়।
আচ্ছা দাঁড়া কাপটা ফেলে দিয়ে আসি- বলে বড় রাস্তার পশে দোকানের ডাস্টবিনের দিকে এগোতেই দেখি রামনগর যাওয়ার একটা বাস প্যাসেঞ্জার তুলছে। দূর থেকে, একটা কাজ আছে বলে টুক করে বাসে উঠে পরি।
বাস ফাঁকা না হলেও সিট পাওয়া গেলো। আবার জানলার ধারেই। ওদের ভয়ঙ্কর খচে যাওয়ার কথা। কাছে ফোন থাকলে এখুনি গুচ্ছের গালাগাল শুনতে হতো। পকেটে হাত দিয়ে দেখি একটাই দুশো টাকার নোট। মাসের প্রায় শেষ। মাইনে পেতে এখনো ঢের দেরি। এটা কাল বিকালেই প্রণবের থেকে ধার নিতে হয়েছিল। আরও একটা ১০ টাকা থাকার কথা। নেই। মানে মা সবজি কেনার সময় কিছু না পেয়ে ফিরোজকে চালান করে দিয়েছে।
ভাড়া নিতে এসে কন্ডাক্টার বড় নোট দেখে বেশ গাঁইগুঁই করে ১৯০ টাকা দিয়ে বলে- দুটাকা পরে দিচ্ছি । ফ্রাস্ট ট্রিপে বড় নোট দেওয়ার এটা ফাইন। কথা বাড়ালাম না। মিনিট কুড়ি পরে মনুমেন্ট স্টপেজের কিছু আগেই নেমে পড়লাম।
এখানে রাস্তার দুপাশে সার দিয়ে দেবদারু আর আম গাছ। পথ সোজা গিয়ে মনুমেন্টে ধাক্কা খাচ্ছে। তার কিছুটা আগে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে খানিক ঢালু হয়ে রাস্তার একটা ভাগ চলে গিয়েছে রামনগর ঘাটের দিকে। দুই দিকে বিস্তীর্ণ ক্ষেত। কখনো ধান কখনো আঁখ চাষ হয়। রোদ মাথায় এলে ঠিক এইখানে হঠাৎ শরীর জুড়িয়ে যায় ছায়ায়। উষ্ণতা যেন দুতিন ডিগ্রি কমে যায়। হাঁটতে ভালো লাগে। হেঁটেই এগিয়ে যাই মনুমেন্টের সামনের চায়ের দোকানের দিকে। বাইরে বেঞ্চি পাতা। গোটা দুয়েক পিকনিক পার্টি; তাদের কেউ কেউ ব্যাটমিন্টন খেলছে, কেউ রান্নার জোগাড়।
এক ভাঁড় চা নিয়ে বেঞ্চে বসে সামনে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দেখি নীল চুরিদার পরে বেশ লম্বা একটা মেয়ে এদিকেই আসছে। আরেকটু এগিয়ে আসতেই চমকে উঠি। এই মেয়েটাকে আমি চিনি। খুব ভালোকরে চিনি। নীহারিকা।
৩.
মাস্টার ডিগ্রির এন্ট্রান্স পরীক্ষা। শুধু একটা নীল পেন আর অ্যাডমিট নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসে দেখাগেল কালো কালিতে একটা ফর্ম ফিলাপ করতে হবে। হেল্পডেস্কের কালো পেন তখন অন্য একজনের দখলে। আরো দুজন সেটার অপেক্ষায়। পাশে বসা মেয়েটা মুখ ঘুরিয়ে ফিলাপ করছিলো। শেষ হতেই বললাম - আপনার কাছে কালো পেন পাওয়া যাবে ? নিজের ফর্মে দেখতে দেখতে মেয়েটা কালো পেন এগিয়ে দিলো কথা না ফোরাতেই। কাজ শেষ করে যখন পেনটা ফেরৎ দিলাম তখন মেয়েটা আমার মুখের দিকে তাকালো। টানা টানা চোখ। চোখের দিকেই বোধহয় মানুষের প্রথম দৃষ্টি যায়। সেই প্রথম দেখা নীহারিকার সাথে।
এই গল্পের ফর্ম আর কালো পেন কখনো কখনো পেন্সিল আর পরীক্ষার রাফ ওয়ার্কে বদলে যায় কিন্তু ক্রিম রঙের চুড়িদার পরে নীহারিকা আর পেন অথবা পেন্সিল ফেরৎ নেওয়ার সময় তার পরিপূর্ণ দৃষ্টিটুকু আজ সাত আট বছর পরেও ভুলিনি।
এন্ট্রান্স উৎরে ছিলাম। পাশ করেছিল নীহারিকাও। একই সাথে ক্লাস করেছিলাম কয়েক বছর। একটা সময় শুধু ওর জন্যই ক্লাসে যেতাম। বার দুতিনেক পাশেও বসেছি। ওর পাশে আমাকে খুবই বেমানান লাগতো। বাড়ি এসে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হতো ইস আমার নাকটা যদি আরেকটু সরু হতো। যদি আরেকটু লম্বা হতাম। ক্লাসের সবাই মিলে বার দুতিনেক ঘুরতে যাওয়াও হয়েছিল। সেমিস্টার গুলো গল্পগুজব, আনন্দ আর অল্প স্বল্প পড়াশুনোয় খুব তাড়াতাড়ি কেটে গিয়েছিলো। ক্লাসের শেষ দিনটাই ছিল আমাদের শেষ দেখা।
আজ এত্ত দিন পর আবার দেখা। এখনও একই রকম আছে নীহারিকা। ওর চোখের দিকে তাকালে শান্ত হৃদয়ে এখনও ঝড় ওঠে। সেই ঝরে উথাল পাথাল হওয়া মন যেন ওই নিশ্চল করে দেয় স্নিগ্ধ হাসিতে। ওর মোমের মতো ত্বকে রোদ পিছলে যায়। ঠিক এমন মেয়েদেরই ফিরতি পথে এন আর আই ছেলেরা নিয়ে চলে যায়। নীহারিকারও তাই হবে একদিন। খুব দুঃখ হলো আমার।
ও ঘুরতে এসেছিলো মুর্শিদাবাদ। পথে এক বান্ধবীর বাড়ি একবেলা থেকে রাতের ট্রেনে কলকাতা ফেরার কথা। কথাটা শুনে ভীষণ রাগ হলো। এইখানে আমি ছাড়া নীহারিকার অন্য কোনো বন্ধু কেন থাকবে?
কথা চলতে থাকে। কে, কোথায় , কেমন আছে, কি করছে এমন। একসময় শেষও হয়। তারপর নেমে আসে অস্বস্তিকর নীরবতা। দুজনেই দুজনের দিকে হাসি হাসি মুখে চেয়ে থাকি। বুকে লাখো কথার বুদ্বুদ ভেসে ওঠে। বলা হয়না কিছুই।
নীরবতা ভেঙে ওই বলে- ভালোই হলো তুই এসে। জায়গাটা আমাকে ঘুরিয়ে দেখা।
কিন্তু হেঁটে আর কতদূর যাওয়া যাবে। রোদও বাড়ছে। একটা বাহন দরকার। ওর বান্ধবীর বাড়িতেই একটা স্কুটার আছে। সেটা জোগাড়ও হয়ে যায়। বাহ! ও বেশ চালাতে জানে।
পেছনের সিটে বসে রামনগর খেয়া ঘাটের দিকে এগোয় আমরা।
৪.
এইখানে শুধু গ্রাম আর গ্রাম। দিগন্ত বিস্তৃত ক্ষেত। কোথাও পুরো মাঠ চোখ ধাঁধানো সর্ষে ফুলে ঢাকা। কোথাও গম কাটা চলছে।
আচ্ছা তুই জব করলিনা কেন ? নীহারিকা প্রশ্ন করে।
জব। এই শব্দটা বড্ড আধুনিক। এই শব্দ খুব সহজে চাকরির চাকরামি ঢেকে দেয়।
করি তো। স্টুডেন্ট পড়ায়।
না না। আমি সে কাজের কথা বলছি না। আইটি জব কেন করলি না। তুই তো প্রোগ্রামিংয়ে ব্রিলিয়ান্ট ছিলিস। ছাত্র পড়ানোর জন্য মাস্টার্স করলি ?
ওর কথায় অনেকটা কৌতুক, কিছুটা কৌতূহল আর তাচ্ছিল্যও মেশানো। সত্যি এমন ভাবতাম বৈকি। বিরাট কর্পোরেট চাকরি। স্যাটারডে নাইট পার্টি। সেভেন ডিজিট স্যালারি। এসবের জন্যই তো এতো পড়াশুনো। তারপর সিনেমার একটা ডায়লগ আমারও মনে দাগ কেটেছিল- "যদি ব্যাংকেই চাকরি করতে হয় তবে ইন্জিনিয়ারিং কেন করা?"
দু ছ মাস যে সে চাকরি করিনি এমনও নয়। তারপর মনে হলো এসবের জন্যই কি এত পড়াশোনা? বেরিয়ে আসি।এখন আমার এইটুকু পড়াশোনা শুধু পড়াশোনার জন্যই। টিউশন করি। অবসরে ঘুরে বেড়ায়। গ্রামে। গঞ্জে। শহরেও। ভালোইতো তো আছি।
কিরে ? বল !
বললাম -এমনি !
এখানে গঙ্গা তেমন চওড়া নয়। ওপার স্পষ্ট দেখা যায়। এমন গ্রামে শহরের মতো জেটি থাকেনা। কিন্তু নৌকার উপর লড়ি থেকে ট্রাক্টার সব পার হয়। নৌকা পাড়ে এসে ভিড়লে মাঝিরা লোহার পাটা ফেলে দেয়। সেই দিয়েই ওঠে মানুষ থেকে মোটর। নদীর ওপারে মুর্শিদাবাদ।
আচ্ছা, তুই মুর্শিদাবাদ এসে শুধু বহরমপুর, লালবাগ আর হাজারদুয়ারী দেখলি ?
আবার কি দেখবো ?
আছে। গঙ্গার ওপারে দারুন একটা জায়গা আছে। যাবি ?
কোন জায়গা বল ?
বললেই তুই চিনতে পারবি? চল দেখে আসি।
নীহারিকা না করলো না। বাঁশের মাচার উপর স্কুটার নিয়ে খোলা নৌকায় নদী পার হওয়ার এমন অভিজ্ঞতা ওর নেই বোধহয়।
এখানে টিকিট লাগে না। ওই পারে ছোট্ট গুমটি। তার সামনে বাঁশ দিয়ে পথ আটকানো। যারা পারাপার করে তাদের ওই গুমটি থেকেই টাকা নিয়ে নৌকায় ওঠায়। নৌকা থেকে নেমে ওখানে টাকা দিয়ে বেরোতে হয়।
নৌকায় বেশ কিছু মানুষ। প্রায় সবাই ওর দিকে চেয়ে। তারপর নিজেই স্কুটার নৌকার উপর তুলেছে। গ্রামে ঘরে মোটর সাইকেল এলেও এখনো তার উপর পুরুষদের একাধিপত্য। মেয়েদের এমন দেখা যায়না। আবার সাথে একটা ছেলে থাকতেও মেয়েটাই স্কুটার নিয়ে; নীহারিকা ছাড়াও এটাও দেখার মত বিষয় তো বটেই। গাঁয়ের মানুষের কৌতূহল বড় বেশি। খুব অল্পেই তারা অবাক হয়। খুব অল্পেই খুশি। আবার খুব অল্পের জন্য লড়াইও বাঁধে। বড় অস্বস্তি হলো।
নৌকা থেকে নেমে আমিই স্কুটারটা চালাবো বললাম। ও দেখুক মুর্শিদাবাদের গ্রাম্য প্রকৃতি।
এরপরের পথ কাঁচাপাকা। এক কালে পিচ রাস্তা ছিল। এখন তার স্মৃতি বহন করছে খোয়ার দলা আর গর্ত। গহীন গ্রামের মধ্যে দিয়ে রাস্তা যেখানে বাঁক নিয়েছে সেই জায়গার নামটা ভারী সুন্দর। মানিক্যাহার। এখান থেকেই বাঁ দিকে ঘুরে বড় বড় দুটো গ্রাম, ঘোল্লা আর মিল্কির মধ্যে দিয়ে পথ পৌঁছেছে আরেকটা নদীর কাছে। বাবলা নদী। এ নদী ঘুমন্ত শিশুর মতো শান্ত; স্নিগ্ধ।
নদীর পার বেশ উঁচু। কয়েকটা গাছও আছে। ঠান্ডা হওয়া বইছে। নদীর উপর একটা নৌকা বাঁধা। মাঝি নেই। এই দৃশ্য ঠিক যেন শিল্পীর জলরঙের ক্যানভাস থেকে উঠে এসেছে। নীহারিকা অপার বিস্ময়ে চেয়ে থাকে।
এমন দিনেও বৃষ্টি আসে! ঝমঝমিয়ে। গাছের নিচে গিয়ে দাঁড়ালাম। কিন্তু তাতে কি ভেজা আটকায় ?
নীহারিকা নীহারিকা নীহারিকা। দৃষ্টি ফেরাতে পারিনা।
জলে ভিজে ওর পোশাক শরীরের সাথে লেপ্টে গিয়েছে। ওর উন্মুক্ত বাহুদ্বয় ঠিক ততটাই সরু যতটা হলে তাকে মোটা বলা যায় না। টিয়ার ঠোঁটের মত বাঁকানো পাতলা নাক। ওর গালে বৃষ্টির ছিটে। মাথা থেকে কপাল, চোখের পাতা বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে ওর ঈষৎ প্রসারিত ঠোঁটের উপর। সেই জলটুকু শুষে নিতে ইচ্ছা হলো আমার। ওকে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিতে ইচ্ছা হলো। মনে হলো প্রানভরে ওর শরীরের মায়াবী ঘ্রান নি।
৬.
মনুমেন্টের সামনের চায়ের দোকানে ফিরে নীহারিকা ফোন নম্বর নিল। সেদিন বাড়ি ফিরে রাতেই আমার ধুম জ্বর আসে। জ্বরের ঘোরে স্বপ্ন দেখলাম। চুমুর স্বপ্ন। সুপারনোভা মহাবিস্ফোরণের সময় থেকে সেই গভীর চুম্বনের সৃষ্টি। আবহমান তার স্থিতি। আর একজোড়া ওষ্ঠাধরের একত্রে মিলেমিশে কৃষ্ণগহ্বরের তার লয়।
নীহারিকা নিশ্চয় ফিরেছিল কলকাতায়। আমার নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করেছিল কি? করলে পেতনা। এই দেখা হওয়াটা চিরনতুন করে রাখব আমি। কল আর মেসেজের ভীড়ে তাকে পুরনো হয়ে হারিয়ে যেতে দেবনা। নম্বরটা ভুল দিয়েছিলাম ইচ্ছা করেই।
সকালে প্রণব আর ঋষভ হম্বিতম্বি করতে করতে দেখা করতে এসে জ্বর দেখে আর চোটপাট করেনি। তবে সিনেমার গল্প আর সত্যিকারের জীবন নিয়ে তাদের দুজনের বিবাদের মীমাংসা করে দিয়েছিলাম। হয় হয় বস্তাপচা রোম্যান্টিক সিনেমার গল্পও সত্যি হয় -হঠাৎ নায়িকার সাথে দেখা হয়ে যায়। বসন্তে অকারণে বৃষ্টিও আসে। বাস্তবটাই স্বপ্ন কিনা বোঝা যায়না। শুনিস নি ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন ?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পরিমল ভট্টাচার্য ও আমরা (দ্বিতীয় পর্ব)

পরিমল ভট্টাচার্য ও আমরা (প্রথম পর্ব)

কোরকের কথা