বুদ্ধ এবং
ভূপতিত ,আহত পাখিটাকে পরম স্নেহে হাতে তুলে নিলেন কুমার সিদ্ধার্থ তারপর সেবা শুশ্রূষায় তাকে সুস্থ করে তুললেন । সিদ্ধার্থের কোলে পাখিটাকে দেখার পর তীরন্দাজের দাবি- একে তীর মেরে নামিয়েছি আমি অতএব এ পাখি আমার। সিদ্ধার্থ বললেন তুমি পাখিটাকে মারতে চেয়েছিলে, যদি মারা যেত তবে মৃত পাখির উপর নিঃসন্দেহে তোমার অধিকার থাকতো কিন্তু আমি এর প্রাণ বাঁচিয়েছি তাই জীবিত পাখির উপর আমার অধিকার। এ যুক্তি খণ্ডাতে পারলেননা বিচারকও। হার হল তীরন্দাজ দেবদত্তের। গৌতম বুদ্ধের জীবনের সব থেকে আলোচিত ঘটনা বোধয় এটাই। আমরা আমাদের পাঠ্য বইয়েও পড়েছি। এই কাহিনীর শেষ কিন্তু এখানে হয়নি, বরং এ কাহিনী জন্ম দিয়েছিলো আজ থেকে প্রায় দুহাজার পাঁচশো বছর আগের এক সাম্রাজ্যের বিরাট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ।
মহাজনপদ অর্থাৎ বিরাট সাম্রাজ্য। আজ থেকে ২৫০০ বছর আগে অর্থাৎ ৭০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে ভারত ছিল এমনই ষোলোটা মহাজন পদে বিভক্ত। এই মহাজনপদ গুলোর আগে ভারতের মানুষ ছিল যাযাবর। কৃষি বিদ্যা তখন সবে সবে শুরু হয়েছে কোনো কোনো 'জন' বা গোষ্ঠীতে তবে এসমস্ত গোষ্ঠীর প্রধান কাজ ছিল একে অন্যের সাথে পালিত পশু ও তৃণভূমির জন্য লড়াই করা। ভারতের মানুষ ধীরে ধীরে যাযাবর জীবন ছেড়ে থিতু হতে শুরু করলে গড়ে ওঠে জনপদ। মগধ ছিল এই মহাজনপদগুলোর মধ্যে অন্যতম। মগধের রাজধানীর নাম জানতে চাইলে সকলেই এক বাক্যে বলবে পাটলিপুত্র বা বর্তমানের পাটনা শহর কিন্তু বুদ্ধের জীবনকালে মগধের রাজধানী ছিল রাজগৃহ বা রাজগেহ (বর্তমানে বিহারের রাজগির)। এই রাজগৃহতেই মহামানব বুদ্ধ তাঁর জীবনের ঘটনাবহুল বছরগুলো অতিক্রান্ত করেছিলেন ।
সন্ন্যাসী সিদ্ধার্থ ভিক্ষুক বেশে পরিভ্রমণ করতে করতে যখন রাজগৃহে পৌঁছালেন তখন তার দিব্য কান্তি অঙ্গ দেখে রাজগৃহবাসি মোহিত হয়ে পড়লো । ক্রমে সেকথা পৌঁছল মগধ রাজ বিম্বিসারের কানেও এবং প্রথম দর্শনেই তিনি এই মহা সন্ন্যাসীর গুণমুগ্ধ হলেন। রাজা বুঝলেন এমন দিব্য কান্তি দেহ যার সে নিশ্চয়ই কোনো রাজকুমার, সংসারের গ্লানি থেকে মুক্ত হতে সন্ন্যাস নিয়েছে। কিন্তু রাজা বিম্বিসার অনুধাবন করতে পারলেননা এই বয়সে কোন অভাববোধ থেকে সিদ্ধার্থ সন্ন্যাসের পথ বাছলেন । রাজা তখন জাগতিক নানা জিনিস , এমনকি নিজের অর্ধেক রাজত্ব দিয়ে টলাতে চাইলেন সিদ্ধার্থকে। সিদ্ধার্থ প্রতিবারই বিনীত ভাবে রাজার প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করলে রাজা বিম্বিসার সিদ্ধার্থের চারিত্রিক দৃঢ়তার পরিচয় পেয়ে বিরত হলেন এবং প্রার্থনা করলেন বুদ্ধত্ব লাভের পর সিদ্ধার্থ যেন আবার রাজগৃহে পদার্পণ করেন।
বিম্বিসার দূরদর্শী শাসক ছিলেন। যুদ্ধের বদলে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক স্থাপনে ব্রতী হয়েছিলেন তিনি। প্রতিবেশী মহাজনপদগুলির রাজকন্যাদের বিবাহ করে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা বিবাদ মিটিয়েছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে বিম্বিসার'ই ভারতের প্রথম সম্রাট । বোধি লাভের পর সিদ্ধার্থ, বুদ্ধ নামে পরিচিত হন এবং রাজগৃহে পুনরায় পদার্পণ করলে মহারাজ বিম্বিসার তাকে ও বুদ্ধ সংঘের ভিক্ষুকদের বসবাসের জন্য বেণুবন নামের এক সুবিশাল আম্র কুঞ্জ দান করেন। বর্ষাকালে পরিব্রাজন না করে বুদ্ধ ও ভিক্ষুকেরা এই বেণুবনেই অবস্থান করতেন ।
মহামানব বুদ্ধের জীবন দর্শন ছিল সহজ , তিনি কখনোই নিজেকে ঈশ্বর, ঈশ্বরের পুত্র , দূত বা অবতার বলে প্রচার করেননি। এমনকি তার বাণীকেও বিশ্বাস করার পূর্বে বিচার করতে বলেছিলেন। প্রাচীন ভারতে তখন বৈদিক দর্শনের বিপরীত যে সমস্ত নিরীশ্বরবাদী দর্শন বিকশিত হয়েছিল তার মধ্যে বৌদ্ধ দর্শন ছিল প্রধান। পশুবলি ভারতের ঘৃণ্য প্রথাগুলোর মধ্যে একটা । সেসময় গরিব পশুপালক বা কৃষিজীবীদের থেকে পশু নিয়ে তা যজ্ঞে উৎসর্গ করার চল ছিল । এতেকরে গরিবেরা তাদের রোজগার হারাত আর কিছু অন্ধবিশ্বাসী ও পূজারীদের উদরপূর্তি হতো । বুদ্ধ তাঁর জীবদ্দশায় পশুবলি বন্ধ করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন । মহারাজ বিম্বিসার একবার পুত্রার্থ যজ্ঞের জন্য গোবৎস উৎসর্গ করতে উদ্যত হলে বুদ্ধ অন্তিম মুহূর্তে তাকে নিরস্ত্র করে প্রশ্ন করেন অন্যের সন্তান বলি দিয়ে কিভাবে নিজের সন্তানলাভ সম্ভব? মিত্র , অমাত্য পরিবেষ্টিত যজ্ঞস্থলে মহাপরাক্রমশালী এক রাজার সম্মুখে দাঁড়িয়ে তার কাজে বাধাদান ও প্রশ্নবাণ নিক্ষেপ এযুগেও কল্পনাতীত। এমন নির্ভীক, মহামানবের সংস্পর্শে যে জনসাধারণ আসতে চাইবে এটাই ছিল স্বাভাবিক । তায় সাধারণ গৃহী অনুগামী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বুদ্ধের ভিক্ষু সংঘে যোগ দিয়েছিল দলে দলে। জন্মসূত্রে বুদ্ধ ছিলেন শাক্য বংশীয় এবং বুদ্ধত্ব লাভের পর শাক্য বংশীয় বহু নরনারী ও তাঁর নিজের স্ত্রী , পুত্র, আত্মীয়রাও সন্ন্যাস নিয়েছিলেন।
বুদ্ধ ভিক্ষু সংঘের মূল নীতি হল সমতা। এখানে রাজবংশের সন্ন্যাসী ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা সন্ন্যাস গ্রহণকারী দাসের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ ছিলোনা । এ নীতির বিরোধী ছিল অনেকে সন্ন্যাসী । সিদ্ধার্থ যার বান দ্বারা আহত পাখিকে সুস্থ করেছিলেন সেই দেবদত্তও বুদ্ধের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সন্ন্যাস নিয়েছিলেন কিন্তু অচিরেই তিনি প্রবল ক্ষমতা লোভী ও বুদ্ধ বিরোধী হয়ে ওঠেন । একদিন আম্র কুঞ্জে দেবদত্ত বুদ্ধের বয়সের প্রসঙ্গ তুলে নিজে ভিক্ষু মঠধক্ষের পদ গ্রহণের প্রস্তাব দিলে বুদ্ধ তা প্রত্যাখ্যান করেন এবং সেই মুহূর্তে দেবদত্ত তার অনুগামীদের সাথে ভিক্ষু সংঘ ত্যাগ করেন। দেবদত্ত ছিলেন জাদু বিদ্যায় পারদর্শী। বারংবার বুদ্ধ দ্বারা প্রত্যাখ্যাত, পরাজিত দেবদত্ত নিজের অপমানের প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন এবং কিছু ভেলকি , জাদু দেখিয়ে প্রথমেই বিম্বিসারের পুত্র কুমার কুনিওকে বশ করেন । পিতার অধীনে আঞ্চলিক শাসক কুনিও ছিলেন নিষ্ঠুর এবং উচ্চাভিলাষী রাজকুমার ।
দেবদত্ত কুনিওকে বলেন - কুমার, মানুষ এখন আর আগের মতো দীর্ঘজীবী নয় তাই জীবিত মানুষের কাছে তার ইচ্ছাপূরণের সময়ও অল্প। আপনার পিতা দীর্ঘকাল মগধ সিংহাসন অধিকার করে রয়েছেন। এতে আপনার রাজা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদিওবা তাঁর মৃত্যুর পর আপনি রাজা হন তবু রাজ্যভোগ খুব অল্প সময়ই করতে পারবেন। শেষে ঠিক হয় বুদ্ধ ও বিম্বিসারকে সরিয়ে দুজনে নিজ ক্ষেত্রে ক্ষমতার শীর্ষে উঠবেন।
এরপর কুনিও পরপর দুবার মহারাজ বিম্বিসারকে হত্যার চেষ্টা করেন কিন্তু রাজরক্ষীদের তৎপরতায় তা ব্যর্থ হয় । মহারাজ যখন জানতে পারেন পুত্রের সিংহাসন লাভের ইচ্ছার কথা তখন নিজে থেকে সিংহাসন ত্যাগ করে পুত্রকে সিংহাসনে বসান। রাজ্যাভিষেক হয় বিম্বিসার পুত্র কুনিও অর্থাৎ অজাতশত্রুর । এমন নির্বিবাদ মীমাংসা দেবদত্ত আসা করেননি , তিনি বুঝেছিলেন বুদ্ধের পৃষ্ঠপোষক বিম্বিসারকে সরাতে না পারলে ভিক্ষু সংঘের প্রধান হওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। দেবদত্ত আবার অজাতশত্রু কে বোঝাতে শুরু করেন যতদিন বিম্বিসার থাকবেন ততদিন রাজা হয়েও তিনি আসলে বিম্বিসারের ক্রীড়নক হয়েই থাকবেন। এরপর বিম্বিসার বন্দি হন। নিজে হাতে না মেরে অজাতশত্রু চেয়েছিলেন তার পিতাকে অনাহারে রেখে মারবেন । একমাত্র মহারানী কোশল দেবীর অনুমতি ছিল বিম্বিসারের সাথে কারাগারে দেখা করার। মহারানী কৌশলে বিম্বিসারের কাছে খাবার পৌঁছে দিতেন কখনো করবীর কখনো পাদুকার মধ্যে লুকিয়ে কিন্তু বারবার ধরা পড়ার পর যখন সেসব পথ বন্ধ হয় তখন নিজের ত্বকে চতুর্মধু লেপে নিয়ে তিনি বিম্বিসারকে আহার করাতেন। কিন্তু এবারেও ধরা পড়লে অজাতশত্রু কোশল দেবী ও বিম্বিসারের সাক্ষাৎ বন্ধ করেদেন। বুদ্ধ শরণাগত বিম্বিসার এর পরেও আশ্চর্যজনক ভাবে বহুদিন বেঁচে আছেন দেখে অজাতশত্রু সরাসরি পিতৃ হত্যার চরম সিদ্ধান্ত নেন । বিম্বিসারের পায়ে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করে সেখানে গরম তেল ও নুনের প্রলেপ লাগিয়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। আত্মহত্যা করেন মহারানী কোশল দেবী।
বিম্বিসারের মৃত্যুর পর দেবদত্তের প্ররোচনায় অজাতশত্রু হয়ে ওঠেন চরম বুদ্ধ বিদ্বেষী । পিতা প্রদত্ত বেণুবন বুদ্ধের থেকে ফিরিয়ে নেন তিনি । বুদ্ধ পূজার অপরাধে রাজঅন্তঃপুরের নাবালিকা দাসী শ্ৰীমতীকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে কবিগুরু রবি ঠাকুরের লেখা পূজারিণী নামের একটা মর্মস্পর্শী কবিতা আছে ।
এবারে বুদ্ধ হত্যার পালা । মগধরাজ বিম্বিসার ছাড়াও বৈশালী , অবন্তী , কোশলের রাজারা ছিলেন বুদ্ধ ভক্ত তাই বুদ্ধকে সরাসরি হত্যা করলে ফল মারাত্মক হতেপারে বুঝে অজাতশত্রু ও দেবদত্ত ঠিক করেন গুপ্ত ঘাতক দিয়ে কাজ শেষ করা হবে। ঠিক হয় গৃহ্কূট পর্বত থেকে ভোরের উপাসনা শেষে যখন বুদ্ধ ফিরবেন তখন অঙ্গদেশ থেকে আগত একজন তীরন্দাজ গুপ্ত স্থান থেকে তাকে হত্যা করবে। হত্যার শেষে সেই তীরন্দাজকে দুজন মারবে , সে দুজনকে চারজন এই ভাবে ক্রমান্বয়ে ষোলোজন গুপ্ত ঘাতককে লাগানো হয় এই কাজে ।
ত্রিপিটকে বুদ্ধের চেহারার বর্ণনায় বলা হয়েছে যে বুদ্ধের শরীরে ৩২ টি প্রধান ও ৮০ টি অপ্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল যা থেকে সহজেই তাঁকে মহামানব বলে বোঝা যেত । তাঁর গভীর নীল দুচোখ, অজানু লম্বিত বাহু, সিংহ সম বলিষ্ঠ নির্মেদ দেহ, স্বর্ণাভ মসৃণ ত্বক । দূর থেকে বুদ্ধকে দেখেই প্রথম ঘাতকের চিত্ত পরিবর্তন হয় এবং একে একে সকল ঘাতক বুদ্ধের শরণাগত হয়। দেবদত্ত তখন নিজে হাতে বুদ্ধকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। গৃহ্কূট পর্বত থেকে ফেরার সময় পাহাড়ের উপর থেকে দেবদত্ত বড় পাথর গড়িয়ে দেন বুদ্ধের দিকে। বড় পাথরের আঘাতে একটা ছোট পাথর বুদ্ধের পায়ে এসে ভীষণ আঘাত করে বুদ্ধ সাবধান হন ও বড় পাথরের আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা করেন। বারংবার বিফল হয়ে দেবদত্ত অধীর হয়ে ওঠেন। রাজা বিম্বিসারের দুর্দমনীয় হাতি নালাগিরীকে প্রচুর সুরাপান করিয়ে মদমত্ত অবস্থায় ছেড়ে দেন বুদ্ধের পথে। তপস্যারত অবস্থায় বহুদিন বনে জঙ্গলে থাকার সুবাদে বুদ্ধ বন্য প্রাণীদের চরিত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করেছিলেন তাই খুব সহজেই তিনি নালাগিরীর মত্ততা শান্ত করেন। বুদ্ধ হত্যার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয় ।
ওদিকে মগধের জনগণ দেবদত্ত ও অজাতশত্রুর অপশাসনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। কোশলরাজ প্রসেনদির সাথে যুদ্ধে অজাতশত্রুর পরাজয় হয়। বৈশালী ও অবন্তী মগধ আক্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকে । বিপদ বুঝে দেবদত্ত মগধ ত্যাগ করেন ও পরে বুদ্ধের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অভিপ্রায়ে ভিক্ষু সংঘ আসার পথে প্রবল ভূমিকম্পে তার মৃত্যু হয় । গণঅভ্যুত্থান ও প্রতিবেশীদের আক্রমণের ভয়ে ভীত , অনুশোচনা দগ্ধ অজাতশত্রু রাজবৈদ্য জীবকের উপদেশে জনসমক্ষে বুদ্ধের শরণাগত হলে বুদ্ধ তাকে ক্ষমা করেন ।এরপর অজাতশত্রু হয়ে ওঠেন পিতার থেকেও পরাক্রমশালী রাজা । তাঁর শাসনেই মগধ সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি সর্বাধিক হয় । মগধ হয়ে ওঠে সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী এবং এভাবেই ভবিষ্যতের মগধ কেন্দ্রিক সাম্রাজ্যগুলোর ভিত্তি স্থাপিত হয় ।
তথ্যসূত্র :
বদ্ধচরিত (অনুবাদ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ) , মৈত্রেয় জাতক (বাণী বসু ),
মহামানব বুদ্ধ , রামরাজ্য ও মার্ক্সবাদ (রাহুল সাংকৃত্যায়ন) ,
প্রাচীন সমাজব্যবস্থা ও গৌতম বুদ্ধ , বাংলায় বৌদ্ধধর্ম ও বাঙালি বৌদ্ধদের ক্রমবিবর্তন (সাধন কমল চৌধুরী) ,
উইকিপিডিয়া,
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় আমার ফেসবুক প্রোফাইলে ২০১৬ সালের ২৫ আগস্ট। পরে নিরন্তর পত্রিকায় লেখাটি ছাপা হয়েছিল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন